পাস্তুরাইজেসনের ইতিহাস

কোন তরল পদার্থের কারখানায় গড়ে উঠেছিল । এ থেকে সরকারের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হত । কিন্তু বেশি দিন রাখা যেত না । এতে শুধু কারখানা মলিকনয়, সরকরেরও ক্ষতি হচ্ছিল । কারণ অনুসন্ধারের ভার দেয়াহয় লুই পাস্তুর উপর । একদিন তিনি একটি করখানায় গেলেন । সেখানে বড় বড় চৌবাচ্চায় তরল পদার্থ ঠালা হল । একদিকে থাকত ভাল অন্যদিকে খারাপ তরল পদার্থ । দুই তরল পদাথৈ নমুনা এনে পরীক্ষা করলেন পাস্তুর । দীর্ঘ পরীক্ষা পর লক্ষ করলেন, ভাল তরল পদার্থের মধ্যে অতি ক্ষুদ্র গোল এক ধরনের ক্ষুদ্র পদার্থ রয়েছে এবং খারাপ তরল পদার্থের মধ্যে লম্বা ধরনের ক্ষুদ্র পদার্থ রয়েছে । পাস্তুর সিদ্ধান্তে এলেন কোন পারিপার্শ্বিক প্রভাবে গোলাকৃতি পদার্থটি লম্বা আকার ধারণ করছে আর তারই ফলে গ্যঁজ সৃষ্টি হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । শুরু-হলো তাঁর গবেশনা । দীর্ঘ দশ বছর সাধনার পর তিনি সিদ্ধান্তে এলেন বাতাসের মধ্যে রয়েছে অদৃশ্য জীবাণুর দল যারা ভাল তরল পদার্থে সংস্পর্শে এসে তর মধ্যে পচন সৃষ্টি করছে । এতদিন ধারণা ছিল এ সমস্ত জীবাণুর জন্ম আপনা থেকে কিম্বা কোন অজৈব পদার্থ থেকে হয় । এ প্রচলিত ধারনা ভেঙ্গে তিনি জন্ম দিলেন এক নতুন ধারণার । পাস্তুর শুধু এক জাতীয় তরল পদার্থে বিনষ্টের কারন যে ব্যাক্টিরিয়া বা জীবাণু তার স্বরুপ উৎঘাটন করেই খান্ত হলেন না । তিনি চিন্তা করতে লাগলেন কি ভাবে তরল পদার্থের গুণগত মানের পরিবর্তন না করে তার ক্ষতিকর ব্যাক্টিরিয়াকে ধ্বংস করা যায় । তিনি ঐ তরল পদার্থকে বিভিন্ন উত্তাপে গরম করতে আরম্ব করলেন । অবশেষে লক্ষ করেন ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে বা ১৩১ ডিগ্রি ফারেনহাইট উত্তাপে তরল পদার্থের কোন ক্ষতি হয় না, কিন্তু ক্ষতিকর ব্যাক্টিরিয়া ধ্বংস-হয় । তাঁর এ আবিষ্কৃত তথ্য আজ সমস্ত পৃথিবী জুড়ে পাস্তুরাইজেসন নামে পরিচিত । বর্তমানে নানা ধরনের খাবার পানীয়, দুধ ও ক্রীম ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হয় । যার সুফল আমরা সকলেই ভোগ করছি । কিন্তু অতি সামান্য সংখ্যক মানুষই জানে এ সমস্তই পাস্তুরের অবদান ।