মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন পাওয়া যায় তাদের ভিতরের গুণাবলী হতে
ডারউইন যে বিষয় গবেষনা চালাচ্ছেন ওয়ালেস ও ত্রকই বিষয় গবেষণা করেছেন । একটি চিঠির মাধ্যমে জানতে পারলেন ডাউইন । দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন ডারউইন , কিন্তু তিনি (ডারউইন) বিশ বছর যাবৎ গবেষণা করছেন বিবর্তনবাদের উপর । ওয়ালেসের চিন্তাভাবনার সাথে তাঁর চিন্তার আশ্চার্য মিল রয়েছে ।
ডারউইন স্থির করলেন তিনি আর অগ্রসর হবেন না । বির্বতনবাদের উপর যা কিছু গবেষণা করেছেন এখানেই তার সমাপ্তি করবেন, সমস্ত রচনা গবেষণার কগজপত্র আগুনে পুড়িয়ে ফেলবেন । বিবর্তনবাদের সমস্ত কৃতিত্ব একাই প্রাপ্য হোক ওয়ারেসের । কারণ এই মুহুর্তে তিনি যদি তাঁর রচনা প্রকাশ করেন তাহলে ওয়ালেসের ধারণা হবে বন্ধু ডরউইন তাঁর গবেষণাপত্র চুরি করেছে এবং তার চরম বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছু নয় । কিন্তু ডারউইনের বন্ধু ডঃ লায়েল সব কথা শুনে বললেন, তুমি এবং ওয়ালেস একই সভায় তোমাদের প্রবন্ধ পাঠ করবে । বিচারের ভার থাকুক পন্ডিতদের উপর । সমস্ত কথা জানানো হল ওয়ালেসকে । কিন্তু ওয়ালেস চরম মহত্ত্বতার চরিচয় দিলেন । তিনি লিখলেন, এর কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবেই ডারউইনের প্রাপ্য । আমি কোনভাবেই তাঁর অংশীদার হতে চাই না । ওয়ালেসর এই ত্যাগ মহানুভবতা চিরদিন ডারউইন শ্রদ্ধার সাথে মনে রেখেছিলেন । এরপর ডারউইন বইলেখর কাজে হাত দিলেন । একটানা পরশ্রমে তাঁর শরীর ভেঙ্গে পড়েছিল । অসুস্থ অবস্থাতে লেখা শেষ করলেন । আবশেষে ২৪ শে নভেম্বর ১৮৫৯ সালে ডাউইনের বই প্রকাশ পেল । Origin of Species নামে ।
এ বইটিই প্রকাশের সাথে সাথে ১২৫০ কপি বিক্রি হয়ে গেল । বিবর্তনবাদের নতুন তত্ত্ব বাইবেলের আদম ইভের কাহিনী, পৃথিবীর সৃষ্টির কাহিনীকে বৈজ্ঞানিক তথ্যের বিশ্লেষণে সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত করলেন । এ বইতে তিনি লিখেছেন, আমাদের এ পৃথিবীতে প্রতিমুহুর্তে নতুন প্রানের জন্ম হচ্ছে । জীবের সংখ্যা ক্রমাগতই বেড়ে চলেছে ।
Post a Comment
0comments:
Post a Comment